গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৫ রাজশাহী সিপিএসসি মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি অপারেশন দল ১৯ মে রাত ৯ টার সময় পুঠিয়া থানাধীন বানেশ্বর এলাকা হতে শামিম ওসমান(২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে।

শামিম ওসমান রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কিশোরপুর বিলপাড়া গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, শামিম ওসমান নিজেকে দীর্ঘদিন থেকে দূর্নীতি, মাদক ও ইফটিজিং প্রতিরোধ কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সভাপতি পরিচয় দিয়ে আসছেন। কারণে-অকারণে এলাকার মানুষদের হয়রানি ও প্রশাসনের ভয় দেখাত।

এ ছাড়াও সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে তার সু-সম্পর্ক ও যোগাযোগ রয়েছে বলে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতেন। তাকে অত্র এলাকার সবাই তৃপল ৯৯৯ শামিম নামে চেনে-জানে।

রাজশাহীর র‍্যাব-৫ চাকুরী দেওয়া নামে প্রতারকারী সংঘবন্ধ চক্রের মূল হোতা এবং বিকাশ ও ইমো হ্যাকার শামীম ওসমান কে আটক করে। পুটিয়া থানায় উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে মামলার রুজু করা হয়েছে।

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী জানান, শামিম ওসমান এর বাড়ী বাঘার সীমান্ত এলাকার কিশোরপুর বিলপাড়া গ্রামে। এলাকাবাসীরা তাকে তৃপল (৯৯৯) শামিম নামে চেনে। তার নামে র‍্যাব-৫ মামলা রুজু করেছে।

পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ জানান, শামিম স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে মাঝে মধ্যে নানা তদবির নিয়ে আসতো। এ ক্ষেত্রে তার তদবির না শুনা হলে সে বিভিন্ন দপ্তরে মানুষকে হয়রানী করার লক্ষে নামে-বে নামে অভিযোগ লিখে পাঠাতো।

এবিষয়ে বাদী মামুন হোসেন জানান,শামীম ওসমান নিজের গর্তে নিজেই পড়েছে।সে আমাকে ও এলাকার মানুষদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে।শামীম ওসমানের কাছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জাল ছিল আছে।সে ঐ ছিল দিয়ে এলাকার মানুষের কম্পিউটারে নাম লিখে সীল মেরে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়ে আমাদের হয়রানি সহ জমি-আমবাগান দখল, চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়। তার উচিৎ সাজা হওয়া দরকার।